২ অগাস্ট থেকে স্নাতক স্তরের ভর্তি শুরু। আবেদনের জন্য পোর্টাল খুলতে হবে। বুধবার উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
২ অগাস্ট থেকে স্নাতক স্তরের ভর্তির জন্য পোর্টাল খুলতে হবে। বুধবার উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ২০ অগাস্টের মধ্যেই পোর্টাল বন্ধ করতে হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে স্নাতক স্তরে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া পুরো শেষ করতে হবে। এমনই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। ভর্তি প্রক্রিয়া হবে অনলাইনে অর্থাৎ গতবারের মতোই। এই দিনের বৈঠকে যাদবপুর, কলকাতা, ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য জানতে চান কীভাবে মেধার ভিত্তিতে পড়ুয়াদের ভর্তি করা হবে? বৈঠকে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে শিক্ষা মন্ত্রীজানান নম্বরের মাধ্যমেই ছাত্র ভর্তি করতে হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মহুয়া দাস। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়ে দেন ২৬ জুলাই এর মধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে হবে। যদিও অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ক্লাস শুরু করা হবে বলেও এ দিনের বৈঠকে উপাচার্যদের জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যদিও সেই ক্লাস অফলাইনে হবে নাকি অনলাইনে হবে তা পরবর্তী সময়ে সরকার জানাবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, পুরোটাই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর। অন্যদিকে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ভর্তির পাশাপাশি স্নাতকোত্তর স্তরেও পড়ুয়াদের ভর্তির প্রক্রিয়া ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার নির্দেশ দেন ব্রাত্য বসু। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই স্নাতকোত্তর স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। অক্টোবর মাসের চতুর্থ সপ্তাহ থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলেও এদিনের বৈঠকে উপাচার্যদের জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
অন্যদিকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে ছাত্র ভর্তির জন্য কোনও রকম অ্যাপ্লিকেশন ফি নেওয়া যাবে না বলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় কলেজগুলিও যাতে অ্যাপ্লিকেশন ফি না নিতে পারে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
পাশাপাশি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থেকে শিক্ষা মন্ত্রী জানান এখনও পর্যন্ত ১৯ হাজার ছাত্র-ছাত্রী স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেছে। যার মধ্যে ১৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এ রাজ্যে পড়ার জন্য এবং বাকি তিন হাজার ছাত্রছাত্রী বাইরের রাজ্য পড়ার জন্য আবেদন করেছেন।
Post a Comment
0 Comments