পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দপ্তরের এর পক্ষ থেকে ০৯ই জুলাই ২০২১ তারিখ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে যে সমস্ত পলিটেকনিকের চতুর্থ এবং ষষ্ঠ সেমেস্টারের শিক্ষার্থীরা আছে তাদেরকে যে INTERNAL ASSESMENTS টি দিতে হয় সেটা EIOM এর মাদ্ধমে পরীক্ষা দিতে হবে। এবং যখন পরীক্ষা নেওয়া হবে তখন সম্পূর্ণ পরীক্ষাটি 'G-SHUITE ' -এর মাদ্ধমে রেকর্ড করা হবে এবং সম্পূর্ণ রেকর্ডটিকে যে সমস্ত ইনস্টিটিউটের স্যার রা আছেন তারা এটি Follow Up করবে। তারপর সমস্ত পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে সেই রেকর্ডটিকে কাউন্সিলে জমা দিতে হবে।
সেখানে আরো বলা হয়েছে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমিস্টার ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম INTERNAL ASSESMENTS ১৫ই জুলাই ২০২১ থেকে ২৪ই জুলাই ২০২১ তারিকের মধ্যে শেষ করতে হবে। এবং দ্বিতীয় INTERNAL ASSESMENTS ১৮ই আগস্ট ২০২১ থেকে ২৭ই আগস্ট ২০২১ তারিখের মধ্যে শেষ করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গুগোল মিটে ক্যামেরা অন করে পরীক্ষা দেওয়ার বিরোধিতার জন্য পশ্চিমবঙ্গের একাধিক কলেজের পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভ করছে এর সাথে সাথেই তারা রাস্তা অবরোধ করতেও বাধ্য হয়েছে শুধুমাত্র তাদের সমস্যার কথা কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের কাছে পৌছানোর জন্য।
পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনলাইনে ক্যামেরা অন করে দিতে হবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয় এরই প্রতিবাদে দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভ একের পর এক কলেজে।
WEBSCTE Official Notice :
নব্বই মিনিটের এই পরীক্ষা চলাকালীন অনলাইনে শিক্ষকরা নজরদারি রাখবেন প্রত্যেকটি স্টুডেন্টদের উপর ক্যামেরা অন করে সম্পূর্ণ পরীক্ষাটি সম্পন্ন করতে হবে এবং পরীক্ষা চলাকালীন সমগ্র পরীক্ষার রেকর্ড করা হবে এবং সেটি কাউন্সিলকে পাঠাতে হবে কলেজের পক্ষ থেকে।
West Bengal State Council of Technical &
Vocational Education and Skill Development
(Technical Education Division)
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে WBSCTE চেয়ারম্যান মহাশয় এর উদ্দেশ্যে কিছু প্রশ্ন রেখেছে-
STUDENT দের দাবি wbscte এর নতুন Online Proctored mode এর নোটিশ আমরা ছাত্র ছাত্রী রা পেয়েছি কলেজ থেকে।এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হলে আমাদের মধ্যে অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী অংশগ্রহণ করতে পারবে না,
নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণে,
১. 3 ঘন্টা যদি কেউ google meet এ join করে থাকে তবে সে question কী ভাবে দেখবে?
২. এক সময়ে প্রশ্ন দেখা আর অনলাইনে ক্যামেরা অন করে লেখা অনেক নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজন যেটা অধিকাংশের ক্ষেত্রে অসম্ভব।
৩. Google meet অনলাইনে ক্লাস এ join থাকা কালীন প্রচুর নেট খেয়ে নেবে এতে জমা দেওয়ার সময় যদি যথেষ্ট পরিমাণ নেট না থাকে তবে কী হবে!
৪. যাদের পুরো বাড়িতে একটাই ফোন,বা কম দামের ফোন তারা কোনো ভাবেই এক ফোনে এত কাজ করতে পারবেন তাদের কী বেবস্থা হবে!
৫. লোডশেডিং এর সমস্যা আমাদের পশ্চিম বঙ্গে সর্বত্রই, সেখান কার ছাত্র ছাত্রী রা কী করবে!!
৬. 4 ঘন্টা টানা পরীক্ষা এবং খাতা সাবমিট করা সাধারণ 1 বা 1.5 GB তে অসম্ভব।
এই বিষয়গুলো আপনাদের অবগত করানোর জন্য আমরা সবাই এখন একত্রিত।
বহু শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা ধীরে ধীরে তারা প্রকাশ করছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারিগরি ভবন এর পক্ষ থেকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য কোন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
কারিগরি ভবন এর এই নীরব প্রতিক্রিয়া দেখে ছাত্রছাত্রীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছেন এবং তারা জানিয়েছেন এভাবেই যদি চলতে থাকে ভবিষ্যতে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বহু জায়গায় পলিটেকনিক এর স্টুডেন্ট সাথে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে দফায় দফায় পথ অবরোধ ও অবস্থান বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে।
এই করোনা আবহাওয়া এবং ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে সকলে একত্রিত হয়ে শুধুমাত্র তাদের সমস্যার কথাটি সরকার এবং কারিগরি ভবন এর কাজ পর্যন্ত তুলে ধরার জন্য তারা এই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।
শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে আরো জানিয়েছে তাদের ক্যামেরা অন করে পরীক্ষা দিতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু সেক্ষেত্রে ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে যে ধরনের কোশ্চেন প্যাটার্ন তৈরি করা হয়েছিল অর্থাৎ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন এবং বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে তাদের কোনো অসুবিধা নেই কিন্তু এভাবে গুগোল নেটের মাধ্যমে এই দীর্ঘ সময় ধরে ক্যামেরা অন করে পরীক্ষা দিতে তাদের প্রচন্ডভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে ইতিমধ্যেই বহু শিক্ষার্থীদের কাছে স্মার্টফোন না থাকার জন্য তারা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না।
Importent Link
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete