Conjunctivitis: প্রচলিত ভাষায় আমরা এই রোগকে জয় বাংলা নামে জানি,সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকার মধ্যে এই জয় বাংলা রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে।এই রোগের বিজ্ঞানসম্মত নাম কনজাংটিভাইটিস! কী করবেন, জেনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে
Conjunctivitis: বর্ষা পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে নানা মৌসুমি রোগের প্রকোপ। গত একমাসে হু-হু করে ছড়িয়ে পড়েছে কনজাংটিভাইটিস। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতের বহু রাজ্যেই থাবা বসিয়েছে এই চোখের সংক্রমণ
বর্ষা পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে নানা মৌসুমি রোগের প্রকোপ। গত একমাসে হু-হু করে ছড়িয়ে পড়েছে কনজাংটিভাইটিস। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতের বহু রাজ্যেই থাবা বসিয়েছে এই চোখের সংক্রমণ।
হঠাৎ চোখ লাল হয়ে যাওয়া এই রোগের প্রধান উপসর্গ। এছাড়া, চোখের জ্বালা যন্ত্রণাও বাড়ছে। এই রোগ এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সাধারণত এই ধরনের রোগ প্রথমে শিশুদেরই সংক্রমিত করে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে। বুন্দেলখণ্ড মেডিক্যাল কলেজের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও শল্যচিকিৎসক ডা. অঞ্জলি বিরানি বলেন, ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসের ঘটনা হঠাৎ করে বেড়েছে। অনেক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনকও। তবে ১৪ দিনের মধ্যেই এই রোগ থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস থেকে ছড়াচ্ছে এই রোগ।
লক্ষণ—
চোখ লাল বা গোলাপি হয়ে যাওয়া, জ্বালা বা চুলকানি, চোখ থেকে জল পড়া, চোখের ভিতর কটকট করা, চোখ ফুলে যাওয়া এই রোগের লক্ষণ।
সতর্কতা—
এই রোগ খুবই সংক্রামক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। ফলে রোগ থেকে বাঁচতে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন।
নোংরা হাতে চোখ ঘষা, অন্যের তোয়ালে, রুমাল বা অন্য জিনিস ব্যবহার করলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। এই অবস্থায় পরিবারের নিরাপত্তার জন্য মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।
আক্রান্তের চোখের দিকে তাকালেই কি হতে পারে ‘জয় বাংলা’? চিকিৎসকের থেকেই জেনে নিন আদৌ এমনটা হয়, নাকি সবটাই ভ্রান্ত ধারণা
জয় বাংলায় আক্রান্ত রোগীর চোখের দিকে তাকালেই কি এই অসুখের খপ্পরে পড়তে হবে? এই অসুখের চিকিৎসাই কী? রোগ প্রতিরোধ করবেন কী ভাবে? জানালেন বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক।
ছোট থেকে বড়, সবার মধ্যেই দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে এই চোখের অসুখ। বাড়িতে একবার কেউ আক্রান্ত হলেই নিমেষে সকলেই এই রোগের খপ্পরে পড়ছেন। তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মুশকিল হল, এই অসুখ নিয়ে জনমানসে সতর্কতা তো দূর অস্ত, বরং বিভ্রান্তিই রয়েছে বেশি। এই যেমন অনেকেই মনে করেন,
কনজাংটিভাইটিস বা জয় বাংলায় আক্রান্ত কোনও রোগীর চোখের দিকে তাকালেই নাকি এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে! আর সেই কারণেই আক্রান্তকে ঘর থেকে বেরতে মানা করা হয়। এমনকী তাঁকে অন্য কারও চোখের দিকে না তাকানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
কিন্তু প্রশ্ন হল, আদৌ কি আক্রান্তের চোখের দিকে তাকালেই জয় বাংলায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে? এই প্রশ্ন নিয়েই আমরা হাজির হয়েছিলাম কলকাতার দিশা চক্ষু হাসপাতালের বিশিষ্ট ভিট্রিও রেটিনা বিশেষজ্ঞ ডা: শান্তনু মণ্ডলের কাছে। তিনিই আমাদের এই বিষয়ে বিশদে জানালেন।
আসলে এই অসুখটির আসল নাম হল কনজাংটিভাইটিস। তবে বাঙালিরা এই রোগকে জয় বাংলা নামেই চেনেন। আসলে এই অসুখের পিছনে রয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের কারাসাজি। এই ভাইরাস চোখে পৌঁছে সেখানে বংশবিস্তার করে। তারপর চোখের সাদা অংশ বা কনজাংটিভাকে আক্রান্ত করে এই জীবাণু। আর সেই কারণেই চোখে ফুটে ওঠে একাধিক লক্ষণ।
জয় বাংলায় আক্রান্ত রোগীর চোখের দিকে তাকালেই কি এই অসুখের খপ্পরে পড়তে হবে? এই অসুখের চিকিৎসাই কী? রোগ প্রতিরোধ করবেন কী ভাবে? জানালেন বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক।
আক্রান্তের চোখের দিকে তাকালেই কি হতে পারে ‘জয় বাংলা’? চিকিৎসকের থেকেই জেনে নিন আদৌ এমনটা হয়, নাকি সবটাই ভ্রান্ত ধারণা
‘জয় বাংলা’ আমরা সাধারণত এই নামটাই ছোট থেকে বড় সবার মুখে, সবার মধ্যেই দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে এই চোখের অসুখ। বাড়িতে একবার কেউ আক্রান্ত হলেই নিমেষে সকলেই এই রোগের খপ্পরে পড়ছেন। তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মুশকিল হল, এই অসুখ নিয়ে জনমানসে সতর্কতা তো দূর অস্ত, বরং বিভ্রান্তিই রয়েছে বেশি। এই যেমন অনেকেই মনে করেন, কনজাংটিভাইটিস বা জয় বাংলায় আক্রান্ত কোনও রোগীর চোখের দিকে তাকালেই নাকি এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে! আর সেই কারণেই আক্রান্তকে ঘর থেকে বেরতে মানা করা হয়। এমনকী তাঁকে অন্য কারও চোখের দিকে না তাকানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
কিন্তু প্রশ্ন হল, আদৌ কি আক্রান্তের চোখের দিকে তাকালেই জয় বাংলায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে? এই প্রশ্ন নিয়ে চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রদান করা তথ্য অনুযায়ী
এই রোগের পিছনে রয়েছে ভাইরাসের কারসাজি। আসলে এই অসুখটির আসল নাম হল কনজাংটিভাইটিস। তবে বাঙালিরা এই রোগকে জয় বাংলা নামেই চেনেন। আসলে এই অসুখের পিছনে রয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের কারাসাজি। এই ভাইরাস চোখে পৌঁছে সেখানে বংশবিস্তার করে। তারপর চোখের সাদা অংশ বা কনজাংটিভাকে আক্রান্ত করে এই জীবাণু। আর সেই কারণেই চোখে ফুটে ওঠে একাধিক লক্ষণ।
২. এইসব লক্ষণ দেখলেই সাবধান!
২. এইসব লক্ষণ দেখলেই সাবধান!
এই অসুখের ক্লাসিক্যাল লক্ষণগুলি হল-
১. চোখ লাল হয়ে যাওয়া
২. চোখ দিয়ে জল গড়ানো
৩. চোখে চুলকানি
৪. চোখ ফুলে যাওয়া
৫. চোখ জ্বালা করা
৬. এমনকী ব্যথাও থাকতে পারে।
সেই সঙ্গে অনেকের জ্বর আসলেও আসতে পারে। তাই এই পরিস্থিতির শিকার হলে যত দ্রুত সম্ভব একজন চক্ষু চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বাড়িতে কারও সংক্রমণ হয়ে থাকলে তাঁর থেকে নিরাপদ দূরত্ব রখতে হবে। হাত না ধুয়ে চোখ স্পর্শ করা যাবে না। খুব ভিড়ের মধ্যে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খেতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে ভিটামিন বি-২ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, দুধজাত খাবার, টমেটো, সবুজ শাক-সবজি এবং পেঁপে, বাদাম এবং কলা। ভিটামিন সি-এর জন্য সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন আমলকি খাওয়া উপকারী। বিটা ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। সে জন্য কুমড়ো, কমলা, গাজর, পেঁপে ও আম খাওয়া প্রয়োজন।
Post a Comment
0 Comments