পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সেমিস্টার এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই ফল প্রকাশ নিয়েই দেখা দিচ্ছে একগুচ্ছ দ্বন্দ্ব।
এ এক ভুতুড়ে কান্ড , পশ্চিমবঙ্গের পলিটেকনিক কলেজ গুলির মধ্যে প্রায় ২২৯০৬+ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী, ১২ থেকে ১৩ হাজার জন শিক্ষার্থীর রেজাল্ট ফেল এসেছে অর্থাৎ প্রায় ৩৮ শতাংশের কাছাকাছি শিক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হতে পারেনি এই 2nd সেমিস্টারে.
এই ঘটনা সত্যি নজরবিহীন। রাজ্যের একাধিক সরকারি পলিটেকনিক কলেজ যেমন ইটাহার গভমেন্ট পলিটেকনিক কলেজ বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, গঙ্গারামপুর গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজ -এছাড়াও একাধিক কলেজে একের পর এক শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের রাস্তা বেছে নিয়েছে। সিএও এর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে স্লোগানে একত্রিত হয়েছে কলেজের সমস্ত পড়ুয়া রা।
রাত্তিরা কিছু বিষয় তুলে ধরেছে যার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হচ্ছে!
পরীক্ষায় এম সি কিউ প্রশ্ন উঠিয়ে নেওয়ার জন্য সবথেকে বেশি সংখ্যক ভালো রেজাল্ট করতে পারছে না।
অপরদিকে খুবই অল্প সময় সময় অর্থাৎ একটি সেমিস্টার ছয় মাসে হয়ে থাকে,কিন্তু তার বদলে ২ & ৪ সেমিস্টারে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে পুরো সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে অপরদিকে কলেজে সঠিকভাবে প্র্যাকটিক্যাল এবং থিওরির ক্লাস করানো হয়নি।
ইটাহার গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজের পড়ুয়ারা একত্রিত হয়ে কলেজের গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ এবং হাতে পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ।
সি এ ও ম্যাডামের পদত্যাগের দাবিতে অংশগ্রহণ করেছে কলেজের সমস্ত পড়ুয়ারা।
এই সমস্ত বিষয়ের জন্য একদিক দিয়ে সিএও ম্যাডাম দায়ী এই স্টেটমেন্ট তুলে ধরছে কলেজের পড়ুয়ারা।
পড়ুয়াদের তরফ থেকে এমনও অভিযোগ উঠে আসছ,
শিক্ষার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেওয়া হচ্ছে,খাট্টা সঠিকভাবে দেখা হচ্ছে না অর্থাৎ মূল্যায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে না, খাতা না দেখেই আন্দাজে নাম্বার দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ।
এছাড়াও রাজ্যের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি কলেজের অসংখ্যক পড়ুয়ারা একাধিক বিষয়ে সাপ্লি আরে ব্যাক পেয়েছে, সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা সাবজেক্ট টোয়েজ খাতা রিভিউ বা মূল্যায়নের জন্য ৩০০ টাকা করে পড়ুয়াদের প্রদান করতে হয়। এই অজস্র পরিমাণ অর্থ কোথায় যাচ্ছে, এটা কি তাহলে পরিকল্পিতভাবে পড়ুয়াদের ফেল করানো হচ্ছে এই অর্থ উপার্জনের জন্য?
শিক্ষার্থীদের দাবি তারা ভালো পরীক্ষা দিয়েছিল কিন্তু তারপরও তাদেরকে ফেল করানো হয়েছে । অপরদিকে এমনও ঘটনা দেখা যাচ্ছে, প্রথম বছরে যে সমস্ত পড়ুয়ারা ক্লাসের প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ছিল তারা এই দ্বিতীয় সেমিস্টারে ফেল করেছে এতটা অবনতি কিভাবে সম্ভব?
এই ঘটনা সত্যি নজর বিহীন। কলেজ পড়ুয়ার খুবই চিন্তার মধ্যে এবং ডিপ্রেশনের মধ্যে চলে যাচ্ছে। পড়ুয়াদের দাবি রাজ্য সরকার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক এবং একটা নির্দিষ্ট সমাধান তুলে ধরুক।
Post a Comment
0 Comments