পশ্চিমবঙ্গের POLYTECHNIC এবং ITI কলেজ গুলো দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল করোনা পরিস্থিতির জন্য। করোনাপর্ব কাটিয়ে অবশেষে রাজ্যে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সব কিছু ঠিকঠাক চললে কিছু দিনের মধ্যেই রাজ্যে খুলতে পারে সমস্ত পলিটেকনিক কলেজ এবং আইটিআই কলেজ গুলি। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজ্য। এই মাসের শেষে অর্থাৎ আগস্ট মাসের শেষে বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের অধীন সমস্ত POLYTECHNIC এবং ITI কলেজ গুলি খুলে দেওয়ার নির্দেশিকা প্রকাশ হতে পারে।
এই করোনা পরিস্থিতিতে দুই বছর থেকে প্র্যাকটিকাল ক্লাস না হওয়ায় POLYTECHNIC এবং ITI কলেজের পড়ুয়াদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পড়ুয়াদের যাতে আর ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, সেই কারণে দ্রুত কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে চাইছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
হুমায়ুন কবীর
রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর বলেন,-"পড়ুয়াদের Practical ক্লাসগুলি নেওয়ার জন্যই POLYTECHNIC এবং ITI কলেজ গুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই অর্ডার হয়ে যাবে। আলাদা দিনে ভাগ করে পড়ুয়াদের প্র্যাকটিকাল ক্লাসগুলি হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পড়ুয়াদের গ্রুপ করে প্রতিদিন তিনটি শিফটে ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।"
এমনিতে POLYTECHNIC এবং ITI কলেজের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে Theoretical পড়াশোনার তুলনায় হাতে-কলমে বিষয়টি শেখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে দুবছর ধরে পড়ুয়াদের হাতেকলমে শিক্ষা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। যেটুকু পড়াশোনা তা অনলাইনের মাধ্যমে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক আগেই বিভিন্ন মহল থেকে দ্রুত কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়ার দাবি উঠছিল। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কারিগরি শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রতিটি ক্লাস এক থেকে দুই ঘণ্টা করে হত। করোনা পরিস্থিতির আগে প্রত্যেক সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন প্র্যাকটিকাল ক্লাস হত। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে সতর্কভাবে পা ফেলতে চাইছে প্রতিষ্ঠানগুলিও।
POLYTECHNIC এবং ITI কলেজ খুলে দেওয়ার ইঙ্গিতে খুশি পড়ুয়ারাও এবং অভিভাবকরা । পাশাপাশি, তাঁদের মধ্যে ধন্দ কাটছে না। কেননা দুই বছর হাতেকলমে কোনও শিক্ষা না পাওয়ায় চাকরি আদৌ মিলবে কি না, সেই চিন্তা তাঁদের রাতের ঘুম কেড়েছে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, 'সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল নিয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্র্যাকটিকালই আসল। অনলাইনে ক্লাস করে সেইসব শেখা যায় না। পড়াশোনার বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল। টিউশন বা অন্য কোথাও ক্লাস করে এই বিষয় গুলি শেখ যাই না। তাছাড়া হাতেকলমে এই কাজ গুলি না শিখলে ভালো চাকরি পাওয়ার সময় অনেক সম্যসায় পড়তে হবে আমাদের। '
পুরো পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বর্তমানে মোট ১৬২টি POLYTECHNIC কলেজ এবং ৪৬টি ITI কলেজ রয়েছে। কিন্তু এই কলেজ গুলি খুলে দেওয়ার হলেও হোস্টেল খোলার ব্যাপারে কারিগরি শিক্ষা দপ্তর পক্ষ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতে পড়ুয়ারা কোথায় গিয়ে থাকবে সেবিষয়েও কিছু বলা হয়নি।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু বেসরকারি কলেজ গুলি করোনা বিধি মেনে খোলা হয়েছে এবং রাজ্যের বাকি সমস্ত বেসরকারি কলেজ গুলি পুনরায় খোলার পরিকল্পনা চলছে খুব শীঘ্রই সেই কলেজ গুলি খুলে যাবে।
করোনা পরিস্থিতিতে বেশ কিছু কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেফ হাউস তৈরী করা হয়েছে। এই সেফ হাউস গুলি কিছু দিনের মধ্যেই স্যানিটিইজ করে সেগুলি খুলে দেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা টেকনিক্যাল এডুকেশন এর সাথে যুক্ত , একদম VOCATIONAL, ITI থেকে শুরু করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং B.Tech, M.Tech প্রজন্ত। সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে মাতৃভাষায় Technical Education Related সমস্ত তথ্য সহজভাবে এবং সঠিক সময়ে তুলে ধরাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
এটি কোন সরকারি ওয়েবসাইট না। কিন্তু Technical Education Related সমস্ত সঠিক তথ্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা পৌঁছে দিয়ে থাকি।
West Bengal Technical Education এই ওয়েবসাইট এর কর্ণধার হলেন কৃষ্ণ ঘোষ -KRISHNA CHANDRA GHOSH(DIPLOMA,B.Tech MECHNICAL)। যিনি নিজে কারিগরি শিক্ষার সঙ্গে বিগত কয়েক বছর ধরে যুক্ত, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এবং পশ্চিমবঙ্গের টেকনিক্যাল এডুকেশন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ভিডিওর মাধ্যমে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরেছেন "How Can I Help U?" YouTube Channel এর মাধ্যমে। কারিগরি শিক্ষার সাথে যুক্ত সমস্ত শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পথ দেখানো আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
Post a Comment
0 Comments